• বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

স্লোগানে উত্তাল মার্কিন ক্যাপিটল, ফিলিস্তিন থেকে ইসরায়েলকে বের করে দেওয়ার দাবি ,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

ওয়াশিংটনের ইউএস ক্যাপিটলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনপন্থী। বিক্ষোভ থেকে তারা ইসরায়েলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। স্লোগানের মধ্যে ছিল- ‘চুরি করা জমিতে শান্তি নেই’, ‘হত্যা বন্ধ কর, অপরাধ বন্ধ কর’, ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও।’।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘নাকবা’ দিবসকে স্মরণ করে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার ‘নাকবা’এর সময় ৭ লাখ ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়। এ নির্বাসনকে স্মরণ করে ওয়াশিংটনে সমাবেশ করে শত শত বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান অবিলম্বে সমাপ্তির আহ্বান জানান।

বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলকে সমর্থন করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের উপর তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

নাকবা আসলে কী?

১৯৪৮ সালের ১৫ মে মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছিল ফিলিস্তিনিরা। সেই ঘটনাকে নাকবা বা বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করেন তারা। গত ১৫ মে ছিল নাকবার ৭৬তম বার্ষিকী। গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধের নামে গণহত্যা করে তাদের অব্যাহত সংগ্রামের ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে দিচ্ছে।

প্রায় ৭ লাখ ফিলিস্তিনির ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের আগে এবং ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরে তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা একে আরবিতে নাকবা বলে, যার অর্থ বিপর্যয়।

যুদ্ধের পরে ইসরায়েল তাদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করে কারণ এর ফলে তাদের সীমানার মধ্যে ফিলিস্তিনিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতো। পরিবর্তে তারা স্থায়ী উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছে যার সংখ্যা এখন প্রায় ৬০ লাখ। বেশির ভাগই লেবানন, সিরিয়া, জর্দান এবং ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিমতীরে বস্তিসদৃশ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করে। গাজায় শরণার্থী এবং তাদের বংশধররা জনসংখ্যার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ। ফিলিস্তিনিদের ফিরে যাওয়ার অধিকার ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান এই সংঘাতের মূল কারণ।

এখন অনেক ফিলিস্তিনি ভয় পাচ্ছে যে তাদের বেদনাদায়ক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আরও ভয়াবহ মাত্রায় হতে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল তার আক্রমণ বৃদ্ধি করার সাথে সাথে সমস্ত গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিরা গাড়ি এবং গাধার গাড়ি লোড করে উপচে পড়া তাঁবু ছেড়ে নিরাপদ জায়গার খোঁজে হেঁটে রওনা হচ্ছে। সাত মাসের যুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের গণউচ্ছেদের চিত্রগুলো ১৯৪৮ সালের সাদা-কালো ফটোগ্রাফের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। অব্যাহত এই হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৩০৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। আহত হয়েছে আরও ৭৯ হাজার ২৬১ ফিলিস্তিনি। সূত্র: এপি, ওয়াশিংটন টাইমস, ভয়েস অব আমেরিকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ