ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতের পর দেশের মন্ত্রিপরিষদ জরুরি বৈঠকে বসেছে।
বৈঠকে ইরানের মন্ত্রিসভা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর ইরানের মন্ত্রিসভা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
আলী বাগেরি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সাথে একই হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আব্দুল্লাহিয়ান ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও ছিলেন।
আজারবাইজান সীমান্তে ইরানের উত্তরাঞ্চলে রোববার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ঠিক কী কারণে এবং কী ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজনে একটি বাধের উদ্ধোধন করতে গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকে ফেরার পথে দেশটির উত্তরাঞ্চলের পাবর্ত্য এলাকায় বিমানটি বিপজ্জনক অবতরণ করতে বাধ্য হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বা বিপজ্জনকভাবে অবতরণ করেছে।
ঘটনার পর অন্তত ৪০টি উদ্ধারকারী দল এবং ড্রোন পাঠানো হয়েছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মহামান্য প্রেসিডেন্ট এবং তার সঙ্গীরা বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে দেশে ফিরছিলেন। পথে খারাপ আবহাওয়া এবং কুয়াশার কারণে একটি হেলিকপ্টার হার্ড ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয়।’
সূত্র : আল-জাজিরা ও রয়টার্স