হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ নিহত অন্যদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) ইরানের বার্তাসংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে নয়টায় ইরানের তাবরিজ শহরে জানাজা শুরু হয়।
লাখো ইরানি নাগরিক প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজের একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে পায়ে হেঁটে রওনা হন। এ সময় তাদের হাতে ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি ছিল।
নির্বাহী বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহসেন মানসুরি ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান নিউজ নেটওয়ার্কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাইসির মরদেহ ধর্মীয় শহর কওমে নেয়া হবে। এরপর সেখানেও তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এরপর তার মরদেহ রাজধানী তেহেরানে নেয়া হবে। সেখানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রাইসিসহ অন্যান্যদের জানাজা নামাজ পড়াবেন। পরে বুধবার (২২ মে) তাদের মরদেহ দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তাবরিজ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি।
পরদিন সোমবার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। রাইসি ছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলি আলে-হাশেম ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি ছিলেন হেলিকপ্টারটিতে। এ ছাড়া হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলট ও ক্রুও মারা গেছেন।
একাধারে রাজনীতিবিদ ও বিচারক ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী নেতাদের একজন। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। রাইসিকে খামেনির উত্তরসূরি মনে করা হতো।