অবিশ্বাস্যই মনে হতে পারে যে কারো। সকালে ঘুম থেকে উঠে যারা দেখবেন, তাদের হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্টই হবে।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে খেলতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে খুব বেশি রান করতে না পারার পর প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারেনি তারা।
মঙ্গলবার রাতে প্রিইরে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে তিন বল আগেই জয় পায় যুক্তরাষ্ট্র।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে আবারও একাদশে ফেরানো হয় লিটন দাসকে। যদিও সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১ চার ও সমান ছক্কায় ১৫ বলে ১৪ রান করেন জাসদ্বীপ সিংয়ের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৩৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল তার।
দুই ওপেনার অবশ্য ফিরে যান স্রেফ চার বলের ব্যবধানে। ৩ চারে ১৩ বলে ২০ রান করে বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। দুই উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিনিও অবশ্য ব্যর্থ হন। ১১ বল খেলে স্রেফ ৩ রান করে স্টিভেন টেলরের বলেই স্টাম্পিং হন তিনি। শুরুতে ধরে খেলার চেষ্টা করা সাকিব আল হাসানও বড় রান করতে পারেননি। ১২ বল খেলে ৬ রান করে রান আউটের শিকার হন তিনি। ইনিংসের শুরু ভালো না হলেও শেষটা দারুণ করে বাংলাদেশ।
এর কৃতিত্ব তাওহীদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। হৃদয়ের থেকে ব্যাট থেকে আসে হাফ সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন তিনি।
রান তাড়ায় নেমে ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটির দেখা পায় যুক্তরাষ্ট্র। দুই ওপেনারের মধ্যে মোনাঙ্ক প্যাটেল ১২ বলে ১০ ও স্টিভেন টেলর ২৯ বলে ২৮ রান করেন। তিনে খেলতে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ১৮ বলে ২৩ রান করেন।
এরপর অ্যারন জোন্স ও নিতিশ কুমারও রান করতে পারেননি। তবে দলটির হয়ে হাল ধরেন করি অ্যান্ডারসন ও হারমিত সিং। একপ্রান্ত আগলে থাকা কোরি অ্যান্ডারসন ২৫ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হওয়া তার সঙ্গী হারমিত ১৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ রানের ঝড় তোলেন। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা দুজন।
বাংলাদেশের হয়ে মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪১ রান খরচে দুই উইকেট নেন। একটি করে শিকার রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলামের।