অধিনায়ক, ওপেনার, আগের দুই ম্যাচের জয়ের নায়ক; চারজনকে ছাড়াই সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলতে নেমেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবুও তারা শুরুটা পেয়েছিল বেশ দারুণ। কিন্তু সেটি লম্বা হয়নি। সাকিব আল হাসানের হাত ধরে প্রথম উইকেট আসে। এরপর রেকর্ড গড়া ছয় উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রিইরে স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচের একাদশে সবমিলিয়ে চারটি বদল নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথম সারির ক্রিকেটারদের বসিয়ে দেয় তারা। তবুও শুরুটা ভালো হয় তাদের। প্রথম চার ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৫ রান তোলে তারা। পঞ্চম ওভারেও সাকিবকে ছক্কা হাঁকান দলটির ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীর।
এক বল পর সাকিবের বলে ক্যাচ ছেড়ে দেন গৌওসের ক্যাচ ছেড়ে দেন শান্ত। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সাকিবের বলেই লং অফে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন গৌওস। ১৫ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি।
ভেঙে যায় ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারে আরেক ওপেনার জাহাঙ্গীরকেও ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো তানজিম হাসানের হাতে ক্যাচ দেন জাহাঙ্গীর। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে ১৮ রান করেছিলেন তিনি।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর অনেকটাই খেই হারিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংসও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তৃতীয় উইকেটিও পান মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ৯ বলে ৩ রান করা নিতিশ কুমার।
উইকেট পান আরেক পেসার তানজিম হাসান সাকিবও। ৭ বলে ২ রান করে তার বলে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
আগের ওভারে ক্যাচ ধরা রিশাদ হোসেন পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজেই উইকেট পান। ২০ বল খেলে স্রেফ ৭ রান করা মিলিন্দ কুমারকে আউট করেন তিনি। মাঝে কোরি এন্ডারসন এসে ইনিংস গোছানোর চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু ১৮তম ওভারে এসে দুই উইকেট নেন মোস্তাফিজ। প্রথমে ১২ বলে ১৭ রান করা ভ্যান স্কালওয়েকে আউট করেন। এরপর ১৮ বলে ১৮ রান করা অ্যান্ডারসন হয়ে যান বোল্ড। শেষ ওভার করতে এসে জাতিন্দর সিংকে বোল্ড করে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মোস্তাফিজ।
শেষ বলে গিয়ে তার বলে ক্যাচ দেন নিশারাগ প্যাটেলও। ৬ বলে ২ রান করেছিলেন তিনি। এই উইকেট নিয়ে একটি রেকর্ডেও নাম লেখান মোস্তাফিজ। প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ছয় উইকেট পেলেন তিনি। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট পেলেন তিনি। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ২২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট ছিল তার সেরা বোলিং ফিগার।