• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

যুদ্ধ বন্ধে গাজায় ফের আলোচনা শুরু হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে শিগগিরই আলোচনা শুরু হবে। খবর রয়টার্সের।

এ বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন একজন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর প্রধান ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বললেও নিজের নাম বা জাতীয়তা প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, এবারের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় কাতার ও মিসর মধ্যস্থতা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে আলোচনায় জড়িত থাকবে। তাদের দেওয়া প্রস্তাবের ওপরই আগামী সপ্তাহে আলোচনা শুরু হবে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার মিসরের কায়রোতে আলোচনা শুরু হবে। তবে এই বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হামাসের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এখনো কোনো তারিখ ঠিক হয়নি।

গাজায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর কয়েক সপ্তাহ আগে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই কায়রো আলোচনা শেষ হয়।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে শতাধিক বন্দি আছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ