প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম হত্যার বিচারে জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া হবে।
হত্যা মামলা কখনো তামাদি হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদ মোশাররফের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে মারা গেছে তাদের নাম বাদ দিয়ে যারা জীবিত রয়েছে তাদের আসামি করে মামলা করা উচিত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
স্মৃতি পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের সহধর্মিনী সালমা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুল হক, চ্যানেল ৭১’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের মেয়ে বেবী মোশাররফ এমপি।
দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের মতো খালেদ মোশাররফের হত্যার বিচারেও রাষ্ট্র সহায়তা দেবে উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, আমরা যতটুকু পারি ততটুকু সহায়তা করবো। তবে এ জন্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করতে হবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, পাকিস্তান ফেরত সেনাদের সদ্য স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনীতি একীভূত না করলে আর নতুন একটি রাজনৈতিক দলের সৃষ্টি না হলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতো না।
তিনি বলেন, এমএজি ওসমানী ও জিয়াউর রহমান পাকিস্তান ফেরত সেনাদের উস্কানী দেওয়া শুরু করেন এবং তারা (পাকিস্তান ফেরত সৈন্য) সেনাবাহিনীতে ঢুকেই ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারা মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাদের ভিলেন বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, খালেদ মোশাররফ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা ও দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্র কাঠামো বানানোর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের শিথিল কনফেডারেশন গঠনে মোশতাক-জিয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
মোজাম্মেল বলেন, বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চারনেতা ও খালেদ মোশাররফের হত্যাকাণ্ড একইসূত্রে গাঁথা। দেশের স্বাধীনতাকে যারা মেনে নিতে পারেনি তারাই বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চারনেতা ও ৭ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বাসস