• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন

ইসরায়েলের রাফাহর শরণার্থী শিবিরে হামলার অভিযোগ অস্বীকার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

রাফাহ শহরের পশ্চিমে একটি তাঁবু ক্যাম্পে মঙ্গলবার হওয়া হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই হামলা করেনি বলে দাবি করেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলাগুলিতে সেখানে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকাটিতে ইসরায়েল বেসামরিকদের সরে যেতে বলেছিল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।

এর আগে, আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের আপিলকে উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার রাফাহ শহরে ভারী বোমাবর্ষণের পরে প্রথমবারের মতো এর কেন্দ্রস্থলে অগ্রসর হয় ইসরায়েলি সেনারা। ওইদিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে। তিন ইউরোপীয় দেশেরে এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি রাফাহতে ইসরায়েলের একটি বড় স্থল হামলার বিরোধিতা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই ধরনের একটি অভিযান চলছে যে সেটি তারা বিশ্বাস করে না।

গাজার অন্য একটি শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় তোলে। এর ঠিক দু’দিন পর গাজার জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে, মঙ্গলবার আল-মাওয়াসির একটি তাঁবু ক্যাম্টে চারটি ট্যাংক থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। আল-মাওয়াসি একটি উপকূলীয় অঞ্চল। এটিকে একটি সম্প্রসারিত মানবিক অঞ্চল হিসেবে মনোনীত করেছিল ইসরায়েল। সেখানে রাফাহ শহরের বেসামরিকদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, মঙ্গলবার নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ১২ জন নারী ছিলেন।

তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী পরে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত কয়েক ঘণ্টায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিপরীতে জানাচ্ছি, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকায় কোনও হামলা করেনি।’

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে,মে মাসের প্রথম দিকে রাফাহ আক্রমণ শুরু করার সময় ইসরায়েল বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বেসামরিককে আল-মাওয়াসিতে সরে যেতে বলেছিল। তখন থেকেই অনেকেই রাফাহ ছেড়ে পালিয়ে এই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাফাহর কেন্দ্রস্থলে শহরের ল্যান্ডমার্ক হিসেবে পরিচিত আল-আওদা মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক এবং মেশিনগানসহ সাঁজোয়া যান দেখা গেছে। রাফার কেন্দ্রে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ