তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘রক্তখেকো ভ্যাম্পায়ার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের কঠোর সমালোচনা করে বুধবার (২৯ মে) তুর্কি পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
এরদোগান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বর্বরতা প্রত্যক্ষ করছে, যিনি মানসিকভাবে অসুস্থ, পাগল, সাইকোপ্যাথ। নেতানিয়াহু একজন ভ্যাম্পায়ার, যিনি রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকেন। নিজেদের নীরবতার মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও ইসরায়েলের এই ভ্যাম্পায়ারিজমে জড়িত হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে ইহুদিবাদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। তরুণেরা চোখ মেলতে শুরু করেছে। নেতানিয়াহু ও তার খুনি নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে ইসরায়েলের এই গণহত্যা, নৃশংসতা ও বর্বরতা থামাতে হবে।
গাজা উপত্যকার রাফাহ শহরে ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে চিহ্নিত আশ্রয়শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ঘটনা শুধু গাজার জন্যই নয় বরং এটি বিশ্ব শান্তি ও মানবতার জন্য হুমকি। ইসরায়েল যদি আন্তর্জাতিক আইন মেনে না চলে তাহলে কোনো দেশই নিরাপদ নয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে অঞ্চলটিতে ৩৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এমন নৃশংসতা বন্ধে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ব্যর্থতার সমালোচনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এরদোয়ান বলেন, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে যদি একটি গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করা না যায় তাহলে জাতিসংঘের কাজ কী? ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে আপনারা (জাতিসংঘ) কিসের অপেক্ষায় রয়েছেন? প্রকৃতপক্ষে গাজায় জাতিসংঘের চেতনার মৃত্যু হয়েছে।