ইদানিং দেশের বাইরে শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ঢালিউড তারকা শাকিব খান। সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফিরে ঢাকায় একটি ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি। এরপর সেই ছবির গানের শুটিংয়ের জন্য আবারো ব্যাংকক পারি দেন এই তারকা। নিজের সাম্প্রতিক ব্যস্ততার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ফোন নাম্বারের মামলা ও দেশের চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে। লিখেছেন মোস্তাফিজ মিঠু—
এখনতো দেশের চেয়ে দেশের বাইরে শুটিংয়ে বেশি ব্যস্ত থাকছেন। এখানে সুবিধা বা অসুবিধার কোনো বিষয় আছে কি-না?
সুবিধা বা অসুবিধার চেয়ে এখন কাজের স্বাচ্ছন্দবোধের বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ‘রংবাজ’ ছবির সময় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল এরপর দেশের বাইরে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন অনেকে। দেশের বাইরে অন্তত কাজ বন্ধের নোটিশ পাঠাবে না কেউ।
এই বিষয়টি দেশের চলচ্চিত্রের জন্য কি ইতিবাচক মনে করছেন?
অবশ্যই না। এটা সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই ক্ষতিকর। কিন্তু উপায় নেই তো। ছবি তো করতে হবে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা তো বের করতে হবে।
সম্প্রতি আপনার বিরুদ্ধে একজন রাজমিস্ত্রির করা মামলা নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি বিদেশের গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কী বলবেন?
এই আলোচনার সময় আমি দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারি ভালোভাবে। আমার বিরুদ্ধে মামলার কারণটাই বুঝলাম না। আমি একজন শিল্পী। আমাকে যেই সংলাপ দিয়েছে আমি তাই বলেছি। এখানে এর দায় পরিচালক, প্রযোজক বা স্ক্রিপ্ট রাইটারকে দেওয়া হবে। আমার বিরুদ্ধে এই মামলা কতটুকু যৌক্তিক এটি এখন প্রশ্ন। আমি জানি না আদৌ এটা কোনো মামলার মধ্যে পড়ে কি-না।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ফোরাম’ যাত্রা শুরু করে। যেখানে আপনিও সংশ্লিষ্ট। এগুলো নিয়ে ফোরামটি কোনো নিয়ম করা বা বিকল্প কোনো কাজ করবে কি-না?
আমি মনে করি শিল্পী আর শিল্পকে কোনো নিয়মের গণ্ডিতে বাঁধা যায় না। আপনি কোনো লেখককে নির্দিষ্ট শব্দ দিয়ে বলতে পারবেন না যে আপনাকে নির্দিষ্ট শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। সেটা তো হয় না। আমাদের চলচ্চিত্রেও এমন বাঁধা আগেও এসেছে। এতো বাঁধা পেরিয়েও অনেক চলচ্চিত্র আলোর মুখ দেখেছে। শিল্পকে কখনো বাঁধা দিয়ে আটকে রাখা যায় না।
চলচ্চিত্রে গ্রুপিং করার নিয়ে একটা নেতিবাচক চর্চা বরাবরই লক্ষণীয়। এই প্রসঙ্গে আপনি কী বলবেন?
এই বিষয়টি আমিও অনেকদিন ধরেই বলতে চাচ্ছি। কারণ আমাদের চলচ্চিত্র এখনও এমন অবস্থায় নেই যে গ্রুপিং চলবে। এটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি করতে পারে। আমাদের এখন সবাই একসাথে কাজ করার সময়। তাই এটা অনুরোধ আসুন সবাই সবাইকে উত্সাহ দিয়ে কাজ করি। এই আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য মঙ্গলজনক।