মার্কিন চাপে রাফা ক্রসিং আবার খুলে দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে ইসরাইল ও মিসর। নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী, রাফা ক্রসিং থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেবে ইসরাইল এবং মিসর সেখান দিয়ে গাজায ত্রাণসামগ্রী পাঠাবে। চলতি মাসের প্রথম দিকে ইসরাইলি বাহিনী গাজার দিক থেকে ক্রসিংটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার একটি হিব্রু মিডিয়া এ তথ্য জানায়। তবে ঠিক কবে থেকে এখান দিয়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ শুরু হবে, তা জানানো হয়নি।
ইসরাইলের কান মিডিয়ার খবরে বলা হয়, ক্রসিংটি আবার খুলে দিতে ইসরাইল তার সৈন্যদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। সেখানে কোনো আন্তর্জাতিক বাহিনী দায়িত্ব নিতে পারে। তবে এর আগে পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরাই ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে যেসব ফিলিস্তিনি হামাস বা গাজার কোনো প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে জড়িত নয়, তারাই এখানে দায়িত্ব পালন করবে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাক্সিয়স এর আগে জানায়, ইসরাইল তার একটি পরিকল্পনা মিসরের কাছে উত্থাপন করেছে। এতে বলা হয়েছে, তারা ক্রসিংটির বাইরে তাদের সৈন্য মোতায়েন করবে। আর জাতিসঙ্ঘ এবং হামাসের সাথে সম্পর্কহীন ফিলিস্তিনিরা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করবে।
এদিকে গাজা-মিসর সীমান্ত এবং রাফা ক্রসিং নিয়ে আগামী সপ্তাহে ইসরাইল, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করার চিন্তা করছে ওয়াশিংটন। তিন মার্কিন ও ইসরাইলি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকবেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক।
এই বৈঠকে ইসরাইল ও মিসরের মধ্যকার বর্তমান উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার যেকোনো পরিকল্পনায় মিসর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল