গাজায় চলমান আগ্রাসনের সময় আর কোনো আলোচনায় অংশ নেবে না ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তবে ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করলে জিম্মি এবং বন্দিদের বিনিময়সহ একটি ‘পূর্ণাঙ্গ চুক্তি’ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী তারা। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মধ্যস্থতাকারীদের এই কথা বলেছে হামাস। খবর রয়টার্সের।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির জন্য ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে মধ্যস্ততাকারী দেশ মিসর ও কাতার। তবে বারবারই মাঝপথে এসে এই আলোচনার অগ্রগতি থেমে যাচ্ছে। এর জন্য অবশ্য একে-অপরকে দোষারোপ করেছে উভয় পক্ষ।
হামাসের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের উপর চলমান আগ্রাসন, অবরোধ, অনাহার এবং গণহত্যার মধ্যেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া মেনে নেবে না হামাস এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আজ মধ্যস্থতাকারীদের আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়েছি। আমরা বলেছি, দখলদাররা যদি গাজায় আমাদের জনগণের উপর তাদের যুদ্ধ ও আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলেই একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা করতে প্রস্তুত আমরা। এর মধ্যে একটি ব্যাপক বিনিময়ের বিষয়ও রয়েছে।’
হামাসের সর্বশেষ বিবৃতিটি এমন সময় এলো যখন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এর হামলা বন্ধের আদেশ সত্ত্বেও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
যুদ্ধবিরতি বিষয়ে হামাসের এর আগে দেওয়া প্রস্তাবগুলোকে অপর্যাপ্ত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। দেশটি বলেছে হামাসকে ধ্বংস করার জন্য তারা বদ্ধপরিকর। তাই জিম্মিদের উদ্ধার এবং হামাস যোদ্ধাদের মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে রাফাহ শহরে হামলায় মনোনিবেশ করেছে তারা।