সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অথবা তারও আগে। সেই হিসাবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য আর একটি বছর অপেক্ষার পালা। আগামী ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে মাস গণনা। হালকা শীতের আমেজে এদেশে বরাবরই রাজনীতির মাঠ সরগরম শুরু হতে দেখা গেছে। এবার মাত্রাটা একটু ব্যতিক্রমী ও একটু বেশিই আঁচ করা যাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গেল সপ্তাহে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের পূর্ব প্রান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের উদ্দেশে সড়কপথে চার দিনের সফরে যান। এরআগে গত ১৮ অক্টোবর লন্ডনে চিকিৎসার পর দেশে ফিরলেই ঢাকার রাজপথে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা পান। পরপর এই দুটি বিষয়ই দেশের রাজনীতির অঙ্গনে রীতিমতো ঢেউ তুলেছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সফর ছিল ৫ বছর পর খালেদা জিয়ার দলীয় কর্মসূচি-বিহীন মানবিক কর্মসূচি। যাওয়া ও ফিরতি প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পথে মানুষের ঢল নামে। তবে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন নীরব। কোথাও কোন সমাবেশে নামেননি বক্তব্যও দেননি। ফলে তা বাস্তবিকই হয়ে গেছে এক নীরব শোডাউন। অথচ একে ঘিরে দুই প্রধান দলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে এখন চলছে রাজনৈতিক কথামালায় সরব বাহাস। নির্বাচনমুখী মাঠ সাজাতে এবং নিজেদের দলীয় ঝক্কি-ঝামেলা মিটিয়ে নিজেদের গুছিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি এখন জোর কদমে তৎপর হয়ে উঠেছে। নেতা-মন্ত্রী, সম্ভাব্য প্রার্থী কিংবা নতুন মুখের মনোনয়র প্রত্যাশীরা যার যার এলাকায় ছুটছেন অবিরত। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা আগের ঢিমেতালে অবস্থা থেকে বেরিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। যদিও বিভিন্ন এলাকায় ক্ষমতা, মনোনয়ন, আর্থ-স্বার্থ ও পদ-পদবীর দ্ব›েদ্ব উভয় দলের আন্তঃকোন্দল গ্রæপিং নতুন মাত্রায় মাথাচাড়া দিতেও শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতি-প্রক্রিয়া ও সংলাপে ব্যস্ত। আর এর মধ্যদিয়ে ভোট রাজনীতির গাড়ি মহাসড়কেই এসে গেছে।
নির্বাচনমুখী রাজনীতির এ মুহূর্তের গতি-প্রকৃতি এবং খালেদা জিয়ার সড়কপথে অঘোষিত বা নীরব শোডাউন সম্পর্কে অভিমত জানতে চাওয়া হলে গতকাল (মঙ্গলবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউজিসি অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরটি নির্বাচনী ট্যুর হয়ে গেছে। রোহিঙ্গা নিয়ে দেশ মহাবিপদে আছে। সেক্ষেত্রে এটি ভুল সিদ্ধান্ত। তিনি এটি না করলেও পারতেন। যদিও খালেদা জিয়ার সফর বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করেছে। প্রবীণ এই লেখক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসবে তাতে সন্দেহ নেই। বিএনপি আন্দোলনে যেতে চাইবে না। তারা রাজপথের আন্দালন গড়ে তুলতে পারবে না। ড. মইনুল ইসলাম মনে করেন, একবছর পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনী হাওয়া এখন যেভাবে সরগরম হওয়ার কথা ছিল সেভাবে তা হয়নি। বোঝা যাচ্ছে না আগামী নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এরজন্য ক্ষমতাসীনদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে। আগামী নির্বাচনও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো হবে কিনা তা এখন পর্যন্ত পরিস্কার নয়। তিনি মনে করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনকালে জাতিসংঘের তারানকো মিশনের দেয়া ফর্মুলা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট সহায়কই ছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবটি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান নাকচ করে দেন। এটি বিএনপির একটি ভুল সিদ্ধান্তই ছিল। এরফলে এখন ক্ষমতাসীনরা আর রাজি হবে না তারানকো মিশনের ফর্মুলা নিয়ে আলোচনায় বসা কিংবা সেদিকে অগ্রসর হতে। কেননা বিএনপি তো সংসদে নেই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. আবুল কালাম আযাদ উপরোক্ত বিষয়ে ইনকিলাবকে জানান, বেগম জিয়ার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সফরটি বিএনপির রাজনীতির সুদূরপ্রসারি জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। কারণ এই কর্মসূচি যদিও মানবিক এবং নীরব ছিল তবুও এর মধ্যদিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই হয়েছে। সর্বত্র জনসাধারণের ব্যাপক আগমন ঘটে। এতে করে মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য জনগণের আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে। জনগণ দেখতে চায় আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। বিএনপিও চায় না অসাংবিধানিক শাসন। সাংবিধানিক ও নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিই যে বিএনপির কমিটমেন্ট বা অঙ্গীকার রয়েছে তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নির্ভর করছে নির্বাচনী খেলোয়ারদের কমিটমেন্টের উপর।
খালেদা নীরব শোডাউনে রাজনীতিতে ঢেউ
গত ১৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফেরার মাত্র দশ দিনের মাথায় ২৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে সড়কপথে কক্সবাজার সফরে যান। ৩০ অক্টোবর তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গাদের খুন, নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, বিতাড়নের কাহিনী ওদের জবানিতে শুনেন। খালেদা জিয়া সড়কপথে আসা-যাওয়ার এ কর্মসূচিতে ২৮ এবং ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অবস্থান করেন। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতানেত্রীদের সাথে নিয়ে মোটরবহর যোগে সড়ক-মহাসড়ক পাড়ি দেয়ার সময় পথে পথে বিএনপির কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষের স্রোত ঠেলে অগ্রসর হতে হয় বেগম জিয়াকে। নেতা-কর্মীদের আবদার সত্তে¡ও তিনি কোথাও নামেননি। বেগম জিয়ার এই নীরব কর্মসূচি নিয়ে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সর্বত্র এখনও আলোচনা-পর্যালোচনার যেন শেষ নেই। বিএনপির নেতা-কর্মীরা অনেক দিন পর নেত্রীকে কাছে দেখতে পেয়ে আনন্দ-উদ্দীপনার সঙ্গে যেন অজানা অনুপ্রেরণায় ভাসছেন। বেগম জিয়ার নীরবে আসা আর যাওয়া দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের কাছে রাজনীতির ‘টনিক’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শহর-গ্রামে-গঞ্জে এখনও চলছে এর রেশ। এমনকি চট্টগ্রামকে ছাপিয়ে সারাদেশেই এটি ‘চমক’ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে।
আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলা-উপজেলা-থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপচারিতায় তারা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার কর্মসূচিটি ছিল আসলে তাদের রাজনৈতিক শোডাউন। পথে হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। এটি উদ্দেশ্য না হলে তিনি বিমানে কক্সবাজার যেতে পারতেন। যাই বলা হোক না কেন, আগামীতে নির্বাচনকে সামনে রেখে খালেদা জিয়া বা বিএনপির উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। আওয়ামী লীগেরও উচিৎ হবে এ ধরনের পাল্টাপাল্টি শোডাউন করে সারাদেশে দলের প্রতি সরকারের প্রতি জনসমর্থন প্রমাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঞ্চে আসীন অবস্থায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতা তাদের বক্তব্যে খালেদা জিয়ার বড় শোডাউনের কথা স্বীকার করে এ প্রসঙ্গে সরকারি দলের এর চেয়েও বড়সড় শোডাউনের জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকরাও বিএনপির শোডাউনের পর ভোট রাজনীতির মাঠ-ময়দানের হালচাল নিয়ে নতুন করে হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছেন।
সতর্ক দুই দলের তৃণমূল
আওয়ামী লীগ নেতা মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফর করে গেলেন। পথে পথে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে বক্তব্যও রাখেন তিনি। পরদিনই চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি সরকারি কর্মসূচি এবং অপর একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বক্তৃতা করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ওবায়দুল কাদের বলেন যে, বিএনপি মাজা ভাঙ্গা কোমর ভাঙ্গা হাঁটু ভাঙ্গা দল। খালেদা জিয়া লোকদেখানো এবং মিডিয়াকে দেখাতে বিমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না গিয়ে সড়কপথে গেছেন। তাদের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার উঠবে না। আগামী নির্বাচনে না গিয়ে তাদের উপায় নেই। তবে তিনি একথাও দলীয় কর্মীদের স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপিকে জনসমর্থনের দিক দিয়ে দুর্বল ভাবলে ঠিক হবে না। ৫ নভেম্বর মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপি এবার যদি নির্বাচন না করে তাহলে ভবিষ্যতে বাটি চালান দিয়েও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। মুসলিম লীগের পরিণতি হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ নিয়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। চলছে যুক্তি আর বাহাসের পালা। যার সূচনা খালেদা জিয়ার কক্সবাজারমুখী ৪ দিনের শোডাউন থেকেই।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের চট্টগ্রামের তৃণমূল নেতা-কর্মী এবং রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপকালে তারা কেন্দ্রীর নেতাদের এসব কথাবার্তায় ষোলআনা একমত পোষণ করতে পারেননি। তারা সতর্ক মন্তব্য করছেন। অনেকে বলছেন, বিএনপির গণমুখী (শোডাউন) এ ধরনের কর্মসূচিকে খেলো হিসেবে নেয়ার কারণ নেই। তাছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে কিনা এটা সেই দলের হিসাব-নিকাশ ও সিদ্ধান্তের ব্যাপার। ‘বিএনপিকে বাটি চালান দিয়ে খুঁজতে হবে’ কিনা এ ধরনের বক্তব্য বিচক্ষণ নয়; মাঠের বাস্তবতার সাথেও খাপ খায় না। প্রতিপক্ষের শক্তি ও সামর্থ্যকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগকে নিজের রাজনীতি নিয়েই ভাবতে হবে। আওয়ামী লীগ তো বিএনপিকে চালায় করে না!
খালেদা জিয়ার শোডাউনের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনমুখী রাজনীতির মতিগতি সম্পর্কে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গতকাল ইনকিলাবকে জানান, অনেক সময়ই নীরবতা শতকণ্ঠের আওয়াজের চেয়েও অনেকগুণ শক্তিশালী। বেগম জিয়ার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার সফরের মধ্যদিয়ে তা পুনরায় প্রমাণিত হলো। আমরা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হতে চাই। প্রতিটি পদক্ষেপই হবে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক। আওয়ামী লীগের নেতিবাচক রাজনীতির বিপরীতে বিএনপি তাই করছে। দেশের জনগণ নিবিড়ভাবে তা পর্যবেক্ষণ করছে। বেগম জিয়ার এই কর্মসূচিতে শুধু বিএনপি তো নয়; সমগ্র দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে। কারণ জনগণ স্বৈরাচারের বিপরীতে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক তাই দেখতে চায়।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সংসদ সদস্য নুরুল আলম চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গেছেন। জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নই তার লক্ষ্য। বিশ্বের দরবারে দেশের মর্যাদা উঁচু হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা জনসমর্থনের মাধ্যমে সাফল্য অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক তৎপরতা বেগবান করেছি। প্রতিটি এলাকায় নির্বাচনী প্রস্তুতি, সদস্য সংগ্রহ, সভা-সমাবেশ করা হচ্ছে। বর্তমান এমপিদের এবং সম্ভাব্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাথে স্থানীয়ভাবে মতবিরোধ, গ্রæপিং থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এসব সমস্যার কারণ দ্রæত চিহ্নিত করে মিটমাট করে দেয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ এলাকায় যাচ্ছেন। তবে তিনি খালেদা জিয়ার চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফর সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে চাননি।