মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আস সানিকে বলেছেন যে গত সপ্তাহে তার প্রস্তাবিত বন্দিবিনিময় চুক্তিটি মেনে নিতে ইসরাইল প্রস্তুত। তিনি এখন প্রস্তাবটি গ্রহণ করার জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য তাকে বলেছেন। হোয়াইট হাউস এ তথ্য জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউস জানায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও কাতারের আমির তামিমের মধ্যে ফোনালাপে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এ সময় কাতারের আমিরকে বাইডেন নিশিচত করেন যে ইসরাইল প্রস্তাবিত চুক্তির শর্তাবলী মেনে নিতে প্রস্তুত। এখন হামাস যাতে চুক্তিটি গ্রহণ করে, তা নিশ্চিত করার জন্য ’যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সকল কিছু করার জন্য’ তিনি কাতারের আমিরের প্রতি আহ্বান জানান।
চুক্তির নতুন কোনো পাঠকে ইসরাইল মেনে নিতে প্রস্তুত কিনা তা বাইডেন স্পষ্ট করে বলেননি। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন যে কয়েক দিন পূর্বে ইসরাইলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভা যে চুক্তি করার অনুমোদন দিয়েছিল, সেটির সাথে বাইডেনের শুক্রবার প্রস্তাবিত চুক্তিটির মধ্যে পার্থক্য আছে।
কাতারের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই আহ্বান দৃশ্যত ভদ্রোজনিতভাবে দেয়া সর্বোচ্চ প্রকাশ্য চাপ। উল্লেখ্য, কাতারে হামাসের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা বসবাস করেন। গত এপ্রিলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ব্যক্তিগতভাবে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আস সানিকে বলেছিলেন যে হামাস যদি অব্যাহতভাবে চুক্তি প্রত্যাখ্যান করতে থাকে, তবে তাদের উচিত হামাস নেতাদের বহিষ্কার করা।
কয়েক সপ্তাহ পর কাতার নীরবে হামাস নেতাদের দোহা ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে মে মাসে বন্দি বিনিময় নিয়ে আলোচনার সময় তাদেরকে ফিরে আসাটা অনুমোদন করে। দুই মার্কিন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরও হামাস কর্মকর্তারা এখনো কাতারে রয়ে গেছেন। এখন মনে হচ্ছে, বাইডেন প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধের পর কাতার হামাস নেতাদের বহিষ্কার করবে।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র চাচ্ছে হামাস চুক্তি করে গাজা ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে চলে যাক।
উল্লেখ্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করে আসছেন যে হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধ থামাবে না।
অন্যদিকে বাইডেনের প্রস্তাব প্রকাশের পর হামাস প্রস্তাবটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার কথা বলেছিল। তবে তারা আরো জানিয়েছিল, তারা এখনো লিখিত কোনো প্রস্তাব পায়নি। লিখিত প্রস্তাব পাওয়ার পর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল