লেবাননভিত্তিক ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে পূর্ণ যুদ্ধ শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলি সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভি মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজা যুদ্ধের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে দৈনন্দিন গোলাবিনিময়ের প্রেক্ষাপটে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।
কিরয়াত শমনোর একটি সেনা ঘাঁটিতে সামরিক কর্মকর্তা এবং দমকল কমিশনার আইয়াল কাসপির সাথে মতবিনিময়ের সময় হ্যালেভি বলেন, আমরা এমন অবস্থার দিকে যাচ্ছি যে আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর আইডিএফ এই সিদ্ধান্তের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘আট মাস ধরে আমাদের ওপর হামলা চলছে। আর হিজবুল্লাহকে খুবই খুবই উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই গ্রুপের শক্তি বেড়েছে। আমরা খুবই ভালো প্রশিক্ষণ নিয়েছি উত্তরে হামলা করার জন।’
তিনি বলেন, ’আমাদের প্রতিরক্ষা খুবই শক্তিশালী, হামলার জন্য প্রস্তুত। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি।
হ্যালেভি এবং কাসপি পরে উত্তর ইসরাইলে দু’দিন ধরে জ্বলতে থাকা আগুন নেভানোর কাজ কাজে নিয়োজিত দমকল কর্মীদের সাথে সাক্ষাত করেন। হিজবুল্লাহর রকেট ও ড্রোন হামলার কারণে এসব আগুনের কিছু অংশের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর ইসরাইলের বিশাল এলাকাজুড়ে এখনো আগুন জ্বলছে। ইসরাইল ন্যাচার অ্যান্ড পার্কস অথোরিটির হিসাব অনুযায়ী ন্যাচার রিজার্ভসহ ২,৪৭০ হেক্টর এলাকাজুড়ে আগুন জ্বলছে।
এদিকে ওই এলাকা সফর করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন গভির বলেছেন, এখন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব হলো হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, আমাদের ভূমিতে আগুন জ্বলবে, আমরা আহত হবো, আমাদের লোকজনকে সরিয়ে নিতে হবে, আর লেবানন শান্ত থাকবে, তা তো গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, ’তারা আমাদের এখানে পুড়িয়ে মারছে। হিজবুল্লাহর সকল ঘাঁটি পুড়িয়ে দিতে হবে। তাদেরকে ধ্বংস করে দিতে হবে। যুদ্ধ!’
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল