মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
মানিকগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গজারীয়া চকে সরকারী খাল দখল করে প্রবেশপথ নির্মানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। পৌর এলাকার পৌলী,কান্দা পৌলী, বান্দুটিয়া ,সেওতা, বাটভাউর,চামটা ও খাগড়াছরি গ্রামের শত শত কৃষক জেলা এতে অংশ নেয়। এ সময় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এসময় বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বৃহত্তর গজারীয়া চকে এক ফসল,দুইফসল ও তিন ফসলফলের চক । এই চকে পানি আটকানোর ফলে রবি শষ্য মোটেও বপন করা সম্ভব না এবং বোরোধানও নির্দিষ্ট সময়ে বপন করতে পারবেনা । কয়েক লক্ষ একর ভূমি অনাবাদি রয়ে যাবে। ফলে কয়েক লক্ষ টন ধান, শষ্য,গম, ভূট্টাসহ অন্যন্য ফসলের আবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া লক্ষ লক্ষ মানুষ উক্ত ফসল হইতে বঞ্চিত হবে।তারা আরো জানান, বর্তমান বছরে অকাল বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে গজারীয়া চকের আবদ্ধ পানি নদীতে বাহির হইতেছে না, কারণ বিলের পানি নদীতে বাহির হওয়ার একমাত্র পথ সেওতা গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত খাল দিয়ে,বর্তমানে খালটি জনগণের দখল হয়ে যাওয়ার কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের উত্তর পার্শে সড়ক ও জনপথের খাল ও আতা মিয়া ইটের ভাটা ও ড্রাইভেশন খান ডেভলপার্স এবং মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের সামনে সড়ক ও জনপথ রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খান ডেভলপার্স দৈনিক কয়েক লক্ষ টন পানি মাটিসহ নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে তার নিজস্ব জায়গা ভরাট করছে। এ ড্রেজারের অবশিষ্ট পানি এ চকে আটকা পড়ছে ।
এ কারণেও চকে পানি শুকাতে দেরি হচ্ছে। ফলে পানি প্রবাহে দুটি পথই বন্ধ হওয়াতে উক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। তাদের দাবী, সেওতা গ্রামের ভিতরের খালটি আবাসিক দখলমুক্ত করে সচল করে দিতে হবে।