তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। ভারতের ইতিহাসে জওহরলাল নেহরুর পর মোদিই টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েছেন। তবে মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়াকে ভালোভাবে নেয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদির শপথের দিন নিজ ঘর অন্ধকার রেখে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ জানিয়েছেন মুখ্যামন্ত্রী।
এ খবর দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, মোদির নেতৃত্বে এনডিএ মন্ত্রিসভার সরকারকে মমতা ‘চিটিংবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন। মমতা বলেছেন, ‘চিটিংবাজি করে কেন্দ্রে সরকার হয়েছে! এর বিরুদ্ধে এটা আমার ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’। রাষ্ট্রপতি ভবনে রোববার সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ ছিল মোদির নেতৃত্বে এনডিএ মন্ত্রিসভার।
নানা রকম কারচুপি এবং ‘অন্যায়’ পথে মোদি পুনরায় সরকার গঠন করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের ওই নেত্রী। তার মতে, বারবার বলা সত্ত্বেও ভোটের সময়ে অন্যায় রুখতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। এ সবের প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর শপথ বয়কট করে অন্ধকারে প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছিলেন মমতা। কালীঘাটে শনিবার দলের সাংসদ, নেতা ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার তৈরি করছে’ মোদি। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর আসন মোদির ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন মমতা। তার যুক্তি, দেশে এ বারের রায় মোদির ‘স্বৈরতন্ত্রে’র বিরুদ্ধেই। মমতা কালীঘাটের বৈঠকের পরেই বলেছিলেন, ‘এত বড় হারের পরে মোদির উচিত ছিল এটা (প্রধানমন্ত্রিত্ব) অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া!’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশী। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর ঠিক করে দেওয়া অবস্থান মেনেই সুদীপ বা দলের অন্য কোনো নেতাই ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।