আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাসদের সভাপতি এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ১৪-দলের সভা আহ্বান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। হাসানুল হক ইনু হঠাৎ করে ক্ষোভে একটি বোমা ফাটালেন। তার ক্ষোভের বিষয়ে জানার জন্য ১৪-দলীয় জোটের একটি সভা ডাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গতকাল হাসানুল হক ইনুর দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় ১৪-দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে জাসদ সভাপতির ক্ষোভের কথা জানার জন্য ১৪-দলের সভা ডাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, জাসদ সভাপতি কিছুটা অভিমান ও অধিক আত্মবিশ্বাস থেকে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। হঠাৎ করে এ ধরনের কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো ঠিক নয়।
তিনি আরো বলেন, তিনি (ইনু) নিজেও জানেন আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন করলে রেজাল্ট কি হয়।
আগামী ১২ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে জনগণের জান-মাল হুমকিতে পড়লে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে মারামারি একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দলে জনগণের জানমাল হুমকির মুখে পড়লে তা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা যা করার দরকার তাই করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই বিএনপির প্রতিপক্ষ। মারামারি ছাড়া কোনো সমাবেশই শেষ করতে পারে না। তারা নিজেরা মারামারি করে সরকারের ওপরে দোষ চাপায়।
তিনি বলেন, বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। এটাই সরকারের পক্ষ থেকে একটি বড় সহায়তা। কারণ, বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দিতে সরকার যেমন ভয় পায় পুলিশও তেমনি ভয় পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যেভাবে মারামারি করে সে মারামারি থামাতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয়। আবার তারা নিজেরা মারামারি করে সরকারের ওপর দোষ চাপায়। বাসস