দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দ্বিতীয় ভৈরব রেলওয়ে সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উদ্বোধনের সময় ভৈরববাসীর দাবি মেনে নিয়ে নবনির্মিত এই সেতুটিকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নামে নামকরণ করেন শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, এই সেতুটি চালু হওয়ায় এ দেশের রেল যাত্রীসহ মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
এ ছাড়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজভাবে স্থাপিত হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জিল্লুর রহমান সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। তিন বছরমেয়াদি প্রকল্পের কাজ চার বছরে শেষ হয়।
৯৮৪ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণকাজ করে ভারতীয় ইরকোন ও ইফকোন কোম্পানি।
এ সেতুতে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ লাইন রয়েছে। এই সেতুর পিলার ১২টি এবং গার্ডার ৯টি।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুটি চালু হওয়ার পর ঢাকা -চট্রগ্রাম রেলপথে লাকসাম পর্যন্ত ট্রেনের আর কোন ক্রসিং থাকবেনা।
এ ছাড়া ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম, সিলেট ও নোয়াখালী রেলওয়ে পথে ট্রেন চলাচলে সময় অনেকটা কমে আসবে।
উদ্বোধন উপলক্ষে সেতুপাড়ে অনুষ্ঠান
জিল্লুর রহমান সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ভৈরবে মেঘনা নদীর পাড়ে সেতুসংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রেল কর্তৃপক্ষ।
এতে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, রেল মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৩ আসনের সাংসদ র আ ম উবাইদুল মোকতাদির চৌধুরী, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, ভারতের উপ-হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়ায়িকা, সেতুর প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ের মহাব্যবস্হাপক (পূর্ব) মো. আব্দুল হাইসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১ টায় রেলওয়ের একটি সুসজ্জিত ট্রেন নবনির্মিত সেতুর আশুগঞ্জ পাড় থেকে ভৈরবে আসে। এ সময় রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের কাছ থেকে নীল পতাকা উড়িয়ে ট্রেনটিকে সিগন্যাল দিয়ে স্বাগত জানান।