• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

রাখাইন বাসিন্দাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ত্যাগের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে রাখাইনের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাখাইনভিত্তিক সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ দখলে কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মির। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান বলেছে, মংডু শহরের অবশিষ্ট জান্তা ঘাঁটিগুলো ঘেরাও করা হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে যেসব এলাকায় জান্তা বাহিনীর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে অথবা তাদের মোতায়েন করা হয়েছে, সেসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান।

এদিকে মংডুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি পার্শ্ববর্তী বুথিডাং শহর দখল করে বিদ্রোহীরা। দুটি শহরই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। এসব এলাকায় মূলত রোহিঙ্গারা বসবাস করেন।

গত সপ্তাহে মংডুর ১০টি সেনা ছাউনির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এসবের মধ্যে মায়াওয়াদি ট্যাক্টিক্যাল কমান্ড বেস, না খাউং তো সেনা ছাউনি এবং আহ লেল থান কিয়াও সেনা ছাউনিও রয়েছে। মংডু জেলাজুড়ে যত সেনা ছাউনি রয়েছে, সেসবের মধ্যে এ দু’টি ছাউনি শক্তিশালী। এএ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ শতাধিক সেনা। নিহতদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলও রয়েছেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের আহ লেল থান কিয়াউ ক্যাম্প এবং মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস উভয়কে রক্ষা করতে বিমান হামলা এবং কামানের গোলা ব্যবহার করেছিল বলে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শহর রয়েছে প্রায় ১৭টি। এর মধ্যে নয়টিরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। গত বছরের নভেম্বর থেকে রাজ্যটিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তাদের। পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরেরও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে জাতিগত গোষ্ঠীটি। সূত্র : ইরাবতি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ