বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে আঞ্চলিক দুটি পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এ সময় মো. নাঈম নামে এক বাসের হেলপার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে উপজেলার বাঘাইহাট বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট বাজার এলাকায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগে সেখান অবস্থান করা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সদস্যদের সরিয়ে দিতে আসে প্রসীত গ্রুপের নেতৃত্বাধীন মূল ইউপিডিএফ। তারা স্থানীয় লোকজন নিয়ে জড়ো হয় ও বিক্ষোভ করে। এ সময় উভয় পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে বাঘাইহাট বাজার এলাকা একটি প্রাইমারি স্কুল থেকে দুই পক্ষের সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় সেখান দিয়ে নদীতে গোসল করতে যাচ্ছিলেন পরিবহন শ্রমিক মো. নাঈম। তিনি গুলিবিদ্ধ হন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গুলিতে আহত হন দুলেই চাকমা ও চিক্কো চাকমা নামে দুজন। তাদের খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
নিহত মো. নাঈম খাগড়াছড়ি-নাজিরহাট বাস-মিনিবাস সমিতির সুপারভাইজার। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা দূর্গাছড়িতে। দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জয় চৌধুরী জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাঈমকে হাসপাতালে আনা হয়। বুকের ডান পাশে গুলি লেগেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক গোলাগুলির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পর ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা গুলিতে পরিবহন শ্রমিক নিহত ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
পিসিজেএসএস ও ইউপিডিএফ সংস্কারপন্থীদের কাছ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ বলেন, পুরো এলাকা আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রেখেছে। সাজেকের পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতেও তারা তৎপর।