ফরিদপুর জেলা শহরে কুমার নদে নিখোঁজ হওয়ার ৩১ ঘণ্টার পর কলেজছাত্রের ফারদিন শেখের (১৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে তার মরদেহ পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এর আগে বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জেলা শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসিন্দা বন্ধু ফেরদৌসকে নিয়ে মদনখালীর স্লুইসগেটে গোসল করতে যান ফারদিন। গোসলের এক পর্যায়ে স্লুইসগেটের ওপর থেকে লাফ দেন ফারদিন ও ফেরদৌস। এ সময় ফেরদৌস পাড়ে উঠে আসতে পারলেও পানির স্রোতে তুলিয়ে যান ফারদিন।
পরে ফেরদৌসের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও ফারদিনকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা দুদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুদিন উদ্ধার অভিযান চালালেও ফারদিনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে যেখানে নিখোঁজ হয়েছিলেন ফারদিন বৃহস্পতিবার রাতে সেখানেই ফারদিনের মরদেহ ভাসতে দেখে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
ফারদিন ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার বালুরমাঠ এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল শেখের ছেলে। তিনি সরকারি ইয়াছিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পদ্মা নদী থেকে কুমার নদের শাখা শুরু হয়ে মদনখালী হয়ে ফরিদপুর শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গোপালগঞ্জের বিলরুট খালে গিয়ে পড়েছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মদনখালীতে কুমার নদের স্রোতধারায় এ স্লুইসগেট নির্মাণ করে। প্রতি বছর বর্ষার সময় স্লুইসগেটে পানির স্রোত দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী। এ সময় অনেকে স্লুইসগেটের রেলিংয়ে উঠে পানিতে লাফিয়ে পড়ে গোসল করেন ও আনন্দ উপভোগ করেন।