চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আন্দোলনের নামে পড়াশোনার সময় নষ্ট করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, সমাধান হাইকোর্ট থেকেই আসতে হবে।
কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আরেকটু ভেবে এ ধরণের কথা বলা উচিৎ ছিল। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছি না। আমরা পৌষ্য কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য আমরা কোটা চাই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের পরে তাদের সন্তান, নাতি-নাতনিদের জন্য এত বেশি কোটা আশাব্যঞ্জক নয়। আমরা এর যৌক্তিক সংস্কার চাই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আমরা চাই সেটা মেধাবীদেরকে দিয়েই হোক।
সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন সরকার বলেন, ২০১৮ সালে আমরা যে কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছিলাম, সেখানে কোটা বাতিল চাইনি। সংসদকে তোয়াক্কা দেখিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যখন পরিপত্র জারি করে তখন সংসদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আজকে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের বক্তব্য আমাদের কাছে আকস্মিক লেগেছে। আমরা এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করছি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে ছাত্র সমাজ দারুণভাবে আশাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন তা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধানের কোথাও কোটা শব্দটির উল্লেখ নেই। সংবিধান সকল সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে সুযোগের সমতার কথা বলেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আদালতের এই রায় কোনোভাবেই ন্যায় বিচার হতে পারে না। তাই ছাত্র সমাজ রাজপথে আন্দোলন করার মাধ্যমেই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করবে।