• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৯ অপরাহ্ন

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা, যানচলাচল বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

কোটা সংস্কারের দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সবকটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে এই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আর শহরের বিভিন্ন দিক থেকে এই মোড়ে আসা গাড়িগুলো উল্টোদিকে ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। শাহবাগ মোড় দিয়ে এই মুহূর্তে কিছু সংখ্যক রিকশা চলাচল করছে।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলেও যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয় বেলা ১১টা ১৫ মিনিট থেকে।

শাহবাগ মোড়ে সরেজমিন দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল দশটার আগে থেকেই রাস্তা গণপরিবহন চলাচল কমে যায়। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি সংখ্যাও রয়েছে খুবই কম। তবে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্য শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সর্বাত্মক ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী আগামীকাল (বুধবার) সারাদিন দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করা হবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের পাশাপাশি হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।

তিনি বলেন, আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। এই আন্দোলনের ফলে জনসাধারণের যে ভোগান্তি হচ্ছে তার প্রতি আমরা সংবেদনশীল। কিন্তু এর দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে। কারণ এতদিনের আন্দোলনের পরেও তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি এবং বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেনি। আমরা চূড়ান্ত সমাধান চাই। আমরা চাই, অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম ৫ শতাংশে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। যেন পরবর্তীতে এটি আবার সমস্যা হিসেবে সামনে না আসে।

কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামীকাল (বুধবার) থেকে আমরা সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি। বুধবার সকাল ১০টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করব। এছাড়া সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও এই অবরোধ পরিচালিত হবে। তাছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের অন্তর্ভুক্ত হবে। আমাদের সব সমন্বয়কদের সব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি সফল করার জন্য বলা হলো।

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১০ দিন ধরে আমাদের দাবি আদায়ে রাজপথে আন্দোলন করে এসেছি। আমাদের দাবিটি দেশের সব শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি ও অত্যন্ত যৌক্তিক হওয়ায় তা সবার মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। যদি সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে কমিশন গঠনের মাধ্যমে আমাদের দাবি মেনে নেয়, সেক্ষেত্রেই আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাব। অন্যথায় আমাদের দাবি আদায়ে আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।

এর আগে গত ৭ জুলাই ঘোষিত শিক্ষার্থীদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো– সব গ্রেডে সব প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ