বন্যার কারণে মৌলভীবাজারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা মিলে ১৭৬টি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত রয়েছে প্রায় অর্ধলাখ শিক্ষার্থী। বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগই বন্যা দুর্গতদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকিগুলো পানিতে নিমজ্জিত।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, রাজনগর ও সদর উপজেলায় ১৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত হওয়ায় তা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় পাঠদান কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। বন্যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কিশলয় চক্রবর্তী বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় ১২৪টি স্কুল জলমগ্ন রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে চালু রয়েছে ৭৪টি। বন্যার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলুর রহমান বলেন, বন্যায় ৩৬টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ১৫টি মাদ্রাসা জলমগ্ন হওয়ায় এগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ৫১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষান্মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের কাছে বুড়িকিয়ারি গাঙে বাঁধ নির্মাণের ফলে হাকালুকি হাওর থেকে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বুড়িকিয়ারি বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন কাউয়াদীঘি হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, বন্যার শুরু থেকেই প্রশাসন বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। ত্রাণসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু বন্যার্তদের কাছ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।