সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং শিক্ষার্থীদের ৯ দফা বরিশালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
কর্মসূচি শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশালের সমন্বায়করা শনিবার (০৩ আগস্ট) বিকেলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছেন, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে পেরে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রশাসনের ভাইদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল শান্তিতে বিশ্বাসী।
এতে আরও বলেন, আমাদের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রশাসনের ভাইয়েরা ছাত্রদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয়, উক্ত ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশাল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সর্বোপরি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বরিশালের পক্ষ থেকে প্রশাসনের ভাইদের প্রতি জোরালো অনুরোধ রইলো আপনারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে অবস্থান নিন। এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা এড়াতে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে আপনাদের শ্রদ্ধা ও যথেষ্ট সম্মান করি এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা এড়াতে সহযোগিতা করব।
উল্লেখ্য, শনিবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে বরিশাল নগরের চৌমাথা এলাকায় বরিশালে পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি গাড়ি ও পুলিশ বক্সে হামলা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রদের দাবি পুলিশের গাড়িটি তাদের ওপর উঠিয়ে দিতে চাইলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। আর ওই সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়।
তবে গাড়িতে থাকা এএসআই নেয়ামত খান জানান, পুলিশ সদস্যদের জন্য খাবার নিয়ে তারা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে দেখতে পান আন্দোলকারী ছাত্রদের মিছিল। ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িটি সড়কের পাশে চাপিয়ে দেন চালক। তবে কিছু ছাত্র তাদের গাড়ি দেখে হইহুল্লোড় শুরু করলে, গাড়িটি রেখেই চালক দৌড় দেন। তখন গাড়িতে থাকা পোশাকধারী চার পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে যান এবং হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে কয়েকজন লোক পুলিশ সদস্যদের পাশের মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দেন।
শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার পর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সদস্যদের মসজিদ থেকে বের করে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন আহত ছিলেন।