ফ্রান্সকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে প্যারিস অলিম্পিক ফুটবলে সেমিফাইনালে চলে গেছে ব্রাজিল নারী দল। কাঙ্ক্ষিত জয়ে অলিম্পিকের স্বপ্ন বেঁচে রইল ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্তার।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্পেনের বিপক্ষে লালকার্ড দেখেছিলেন মার্তা। যে কারণে ফরাসিদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে নিষিদ্ধ ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। তবে ব্রাজিল জয় পাওয়ায় অলিম্পিকের সেমিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ৬ বারের বর্ষসেরা এই নারী ফুটবলার।
চলতি অলিস্পিকের মাধ্যমে নিজের আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন মার্তা। যে কারণে ক্যারিয়ারের শেষ বড় প্রতিযোগিতায় ভালো কিছু করতে চান ব্রাজিলের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
স্পেনের কাছে হেরে যাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়তে যাচ্ছিলো ব্রাজিল। হলুদ জার্সিতে নিজের শেষ স্বপ্ন হতে কিনা- সেটি ভেবে সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন মার্তা। তবে তৃতীয় স্থানের কোটা আর ভাগ্যের খেলায় কোনো রকমে নকআউট পর্বে ওঠে ব্রাজিলিয়ানরা। অবশেষে ফরাসিদের বিপক্ষে জয়ে আরও এক ধাপ এগিয়ে ব্রাজিল।
গতকাল শনিবার রাতে নাঁতেসে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন গাবি পোর্টিলহো। ফ্রান্সের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে ডান পায়ে দুর্দান্ত শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান। ৮২ মিনিটের সেই শটে পরাস্ত হয় ফরাসি গোলরক্ষক কোস্টানসে পিকোড। ফরাসিদের জাল কাঁপিয়ে আনন্দে আত্মহারা ব্রাজিলের ফুটবলাররা।
প্রথমার্ধে অবশ্য দারুণ একটি সুযোগ মিস করেছে ফ্রান্স। পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে পারেনি ফরাসিরা। ১৬ মিনিটে ফ্রান্সের সাকিনা কারসাউয়ের পেনাল্টি শট রুখে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক লরেঞ্জো।
ক্যারিয়ার জুড়ে দুদান্ত পারফর্ম করলেও এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের হয়ে অলিম্পিক কিংবা নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা হয়নি মার্তার। দুইবার শিরোপার কাছাকাছি গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে রৌপ্য জিতেছিল ব্রাজিল।
সেমিতে ফের স্পেনের মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এই ম্যাচে জিতলেই পদক নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের। তাতে স্বপ্ন পূরণ হবে মার্তারও।