ছাত্র আন্দোলন-সহিংসতার জেরে এক সপ্তাহ পর কাজে ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে খুলনার সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
তবে কিছু কিছু পয়েন্টে এখনো দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। আবার অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে মহানগরীর শিবাবাড়ির মোড়, ময়লাপোতা মোড়, গল্লামারী মোড়, ডাকবাংলোর মোড়, পিকচার প্যালেসের মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে আছেন শিক্ষার্থীরা। আবার কিছু পয়েন্টে এখনও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন শুধু শিক্ষার্থীরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) সরদার রকিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই খুলনার সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া থানায়ও পুলিশ তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করেছে।
এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর আন্দোলনকারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ক পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল শোয়াইব হাসান সোমবার (১২ আগস্ট) থেকে কাজে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন। পুলিশ বাহিনীতে সংস্কারের আশ্বাসে কর্মবিরতিসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন বলে জানান তারা।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ছাত্র-জনতার সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়ে পুলিশ। সারা দেশে থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা হয়। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনার পর বেশকিছু দাবিতে গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন। একপর্যায়ে পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।