বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশে স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে সমাবেশে আসতে হবে। না আসলে ব্যাংকে কর্মরতদের চাকরি চলে যাবে। সমাবেশটি নাকি রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এটা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ইউনেস্কোর পুরস্কারের জন্য এই সমাবেশ। ভালো কথা অত্যন্ত আনন্দের কথা। কিন্তু প্রত্যেকটি স্কুল ও কলেজকে চিঠি দিয়েছেন না আসলে চাকরি থাকবে না। নাগরিক সমাবেশের আদলে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সমাবেশ করছে।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ভাসানী স্মৃতি সংসদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ফখরুল এই অভিযোগ করেন। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী জাকারিয়া খান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, সাবেক মন্ত্রী নুর মোহাম্মদ খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, মেহেদি আহমেদ রুমী, প্রয়াত ন্যাপ নেতা মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সি রহমার, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল হুদা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতিত্ব করেন ভাসানী স্মৃতি সংসদের সভাপতি জিয়াউল হক মিলু।
ফখরুল বলেন, আজকে খুব বড় সমাবেশ হচ্ছে। এই সমাবেশকে বলা হচ্ছে এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়, এটা হচ্ছে একটা রাষ্ট্রীয় নাগরিক সমাবেশ। এটা হচ্ছে, যে বক্তব্য ৭ মার্চ দেওয়া হয়েছিল, সেটা ইউনেস্কো তালিকাভুক্তি করেছে, সেজন্য এই সমাবেশ। তো ভালো কথা। আমরা তো মনে করি যে, এটা আনন্দের কথা। মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে দেখে এসেছি বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের তো আপত্তি নেই। কিন্তু কী গেইন করছেন? আপনারা একটি মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন। মিথ্যা দিয়ে সব ঢেকে দিচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তাই করছেন আপনারা।
ফখরুল বলেন, আগামী নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণ দেখতে চায় মানুষ। নিরপেক্ষ-নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই এমনটি সম্ভব হবে। তোষামোদি না করে আগামী নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।