• শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বেলকুচি ধুকুরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রথম পরীক্ষা  মেহেরপুরে দুই মাসে ১০৭টি মোবাইল এবং ৬ লক্ষ ৭ হাজার টাকা উদ্ধার ময়মনসিংহের সেই মিনি চিড়িয়াখানা বন্ধ, যন্ত্রণায় ছটফট করছে ভালুক নতুন পারমাণবিক প্রযুক্তির সাফল্য উদযাপন ইরানের পণ্যবাহী ৪ বাংলাদেশি ট্রাক ফেরত পাঠাল ভারত পটুয়াখালী কেন্দ্রে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে বাবার মৃত্যু, পরীক্ষার হলে মেয়ে ভারতের চেয়ে অন্য কেউ বাংলাদেশের মঙ্গল কামনা করে না: জয়শঙ্কর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি কক্সবাজারে ১৩ শিক্ষার্থী ছয় নারীসহ সুন্দরবনে অপহৃত ১৬টি নৌকাসহ ৩৩ জন উদ্ধার

আমন চাষে ব্যস্ত ঝালকাঠির কৃষকেরা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

প্রযুক্তির উন্নয়নে লাঙলের পরিবর্তে ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ হচ্ছে এখন। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে চাষ করতে দেরি হয়েছে। পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু আমনের বীজতলা। এতে বীজ সংকটের আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

বৃষ্টির পানি অনেকটাই আশীর্বাদ কৃষকের জন্য। কিন্তু অতিবৃষ্টির ফলে সেই আশীর্বাদ অভিশাপে রূপ নিয়েছে। অনেক বীজতলা বৃষ্টির কারণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যা রোপণের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এদিকে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষে আমন বীজ রোপণের জন্য প্রস্তুত করেছেন ঝালকাঠির কৃষকেরা। অনেকে আবার জমি থেকে বীজ তোলার পর রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

প্রাকৃতিক পানির কারণে সেচে উৎপাদন করতে হচ্ছে না। ফলে খরচ কমেছে। কিন্তু সার, কীটনাশক, ডিজেল ও শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত লাভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। এ অবস্থায় সারের কৃত্রিম সংকট মোকাবিলার দাবি তাদের।

ভালো লাভের আশায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাঠে মাঠে হাড়ভাঙা পরিশ্রমেও যেন ক্লান্তি নেই কৃষকের। এক বিঘা জমিতে আমন উৎপাদনে কৃষকের ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।

একজন কৃষক জানান, কয়েক বছর ধরে ধানের চারা রোপণের পর রাসায়নিক সারের প্রয়োজন। তখন ডিলার ও সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সারের দাম বাড়িয়ে দেন। তখন দোকানে দোকানে ধরনা দিয়েও সার পাওয়া যায় না।

আরেক জন জানান, কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে সারের দাম বাড়িয়ে দেন। এমন ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষ বলে, সারের কোনো সংকট নেই। যা কৃষকের জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়। প্রকৃতপক্ষে এ সংকট দূর করতে প্রশাসনকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় ৪৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হচ্ছে। কৃষকের ধান উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়, সেজন্য কৃষি বিভাগ পরামর্শ দেওয়াসহ বাজার মনিটরিংয়ে জোরদার ভূমিকা রাখছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ