২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে বিগত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচণ্ড চাপের মুখে দেশ ছেড়ে যান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিচারপতি মোজাম্মেল হকের পর দেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৫ সালে এসকে সিনহাকে নিয়োগ দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। তবে তিনি তার মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।
সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন এসকে সিনহা। যেখানে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
দেশে ফেরা নিয়ে এসকে সিনহা বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমি দেশে ফিরব। আমি সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় আছি। আমি সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করব এবং প্রমাণ করব যে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো মিথ্যা।’
এসকে সিনহা পদত্যাগ করার তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। ২০২১ সালের ৯ নভেম্বর ৪ কোটি টাকা পাচারের মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে।
এছাড়া ওই মামলায় এস কে সিনহা ও তার ভাই অনন্ত কুমার সিনহার ৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ৩তলা বাড়ি জব্দ করার উদ্যোগ নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছিল ঢাকার একটি আদালত। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুদকের দুনীর্তির মামলাও চলমান রয়েছে।