বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ জনগণ বয়সে তরুণ, তাদের মন-মেজাজ না বুঝলে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মতো বিএনপিকেও খেসারত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, আপনারা যদি তারেক রহমানকে ভালোবাসেন, তার হাতকে শক্তিশালী করতে চান, তাহলে অন্যায় কাজ করা যাবে না। হামলা লুটতরাজ চাঁদাবাজি মাস্তানি দখলদারী করা যাবে না। এসবে জড়িতদের বাধা দিতে হবে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে তিনি নোয়াখালীর সূবর্ণচরের চেউয়াখালী বাজারে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, এ দেশের মালিক সাধারণ জনগণ। এটা শেখ হাসিনারও না, তার বাবারও না। এ বিশ্বাস বিএনপিকেও রাখতে হবে। অন্যায়কারী ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেছে, আমাদেরও পরিবর্তন হতে হবে। আমরা তার (শেখ হাসিনা) মতো হলে পরিণতিও একই হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ নাগরিকের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। তাদের মনোজগত বুঝতে হবে। যুবকদের চিন্তা, আকাঙ্ক্ষা, চাহিদা বুঝতে হবে। বর্তমান সময়ে তরুণ-যুবকদের মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। একটি সুষ্ঠু সামাজিক শান্তিপূর্ণ ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চায় তারা। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এ সরকার আমাদের আন্দোলনের ফসল। বিগত ১৬ বছর বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, চাকরি-ব্যবসা হারানো, পথে পথে ঘুরে বেড়ানো, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, নিপীড়ন নির্যাতনের ফসল এটি। ১৬ বছর পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা সেটার সুফল পেয়েছি।
আমীর খসরু আরও বলেন, এখন আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা বসে নেই। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনাদের (নেতাকর্মী) ভুলের সুযোগ নিয়ে তারা ফিরে আসার চেষ্টা করবে। এজন্য কোনোভাবেই ভুল করা যাবে না।
সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এ বি এম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. শাহজাহান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
এছাড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।