পাহাড়ি ঢল, টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নদীর পানি বাংলাদেশে আসার কারণে কুমিল্লায় অধিকাংশ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এ জেলায় প্রায় ১২ লাখ মানুষ। বন্যার্তদের এমন দুর্যোগময় মুহূর্তে বানভাসী মানুষদেরকে উদ্ধার এবং ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাফি।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর, বাকশীমূল, রাজাপুর, মোকাম, গাজীপুর এবং বুড়িচং সদরসহ ৫টি ইউনিয়নের অন্তত ৬০ গ্রাম বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এসব বানভাসী মানুষের জন্য জেলা পুলিশ সদস্যগণ নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়ন হয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুলিশের সদস্যগণ স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাদুর্গত এলাকাবাসীকে উদ্ধার ও তাদেরকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। তারা বন্যা কবলিত এলাকায় ট্রলার দিয়ে বন্যার্তদের উদ্ধার ও মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, খাবার বিতরণ এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছেন। একাজে সহযোগিতা করছেন বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার।