আত্মগোপনে থাকা সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়ার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে সরকারি বরাদ্দের বিপুল মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা মালামালের দাম প্রায় কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মধ্যরাতে মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান এবং সেনাবাহিনীর মেজর জাহিনের নেতৃত্ব গঠিত টাস্কফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করে।
বাড়িটি মেহেরপুর শহরের ক্যাশবপাড়ার সাবেক বিডিআর সদস্য সুরমান আলীর। অভিযানে বাড়ির চারটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সংখ্যক শাড়ি, লুঙ্গি, চাদর, কম্বল, টেলিভিশন, কোরআন শরিফ, টিফিন বক্স, ক্রিকেট, ফুটবল, হুইল চেয়ার উদ্ধার হয়। যার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
উদ্ধার হওয়া মালামালের মধ্যে ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মন্ত্রীর অনুকূলে বরাদ্দকৃত ক্রীড়াসামগ্রী এবং ত্রাণের কম্বল রয়েছে। এছাড়া
সাবেক মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ব্যক্তিগত তহিবলের অর্থায়নে কেনা শাড়ি, লুঙ্গি, টিফিন বক্সসহ বিভিন্ন মালামাল রয়েছে।
বাড়ির মালিক সাবেক বিজিবি সদস্য সুরমান আলী জানান, এক বছর আগে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আত্মীয় ও পিএস দারিয়াপুর গ্রামের দোলন ছয় হাজার টাকা চুক্তিতে বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সরকারি ত্রাণের মালামাল মজুদ করেন। প্রায়ই বাড়ি থেকে বিভিন্ন মালামাল ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আবার মজুদ করা হয়েছে। সেগুলো পাচার করে বিক্রি করা হয়েছে কিনা জানি না।
স্থানীয়রা জানান, ত্রাণের বা রিলিফের সরকারি মালামাল মজুদ করা অন্যায় কাজ। কিন্তু মন্ত্রীর ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
মেহেরপুর সদর উপজেলা ভূমি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজী মূয়ীদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ত্রাণের বিভিন্ন মালামাল পেয়েছি। এগুলো সরকারি মালামাল হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এসব মালামাল আমরা প্রাথমিকভাবে জব্দ করেছি। কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।