সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে মধ্যাঞ্চলীয় হামা প্রদেশে এই হামলা চালানো হয়। সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, যুদ্ধ পর্যবেক্ষক একটি সংগঠন নিহতের সংখ্যা সাতজন বলে জানিয়েছিল।
একটি মেডিকেল সূত্রের বরাতে সানা জানিয়েছে, মাসিয়াফের আশপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এর আগে, যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, রোববার সিরিয়ার মাসিয়াফ অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে বাবা-ছেলেসহ তিনজন বেসামরিক লোক রয়েছেন, যারা একটি গাড়িতে ছিলেন। এই ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং হামলায় ওই এলাকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ধ্বংস হয়েছে।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, মাসিয়াফে বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র থাকা এলাকায় ১৩টি ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়েছে, যেখানে ইরানপন্থি গোষ্ঠী ও অস্ত্র উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন। সিরীয় বার্তা সংস্থা সানার খবরে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে লেবাননের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সিরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে শত শতবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশেষ করে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সিরিয়ায় হামলার সংখ্যা আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় প্রধানত ইরানপন্থি সংগঠনগুলোকে নিশানা করা হয়।
সিরিয়ায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সাধারণত প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয় না। তবে তারা বারবার বলে আসছে, ওই অঞ্চলে তাদের শত্রু ইরানের প্রতিপত্তি কিছুতেই বাড়তে দেওয়া হবে না।