• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে রংপুর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

একদিকে মৃদু তাপপ্রবাহ অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এ অবস্থা চলছে রংপুর বিভাগে। শহরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ মিললেও গ্রামে দিন-রাত মিলে ৬-৮ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন গ্রাহকরা। অস্বাভাবিক লোডশেডিংয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে জনজীবন।

রংপুরসহ বিভাগের আট জেলার সর্বত্র লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে সব বয়সী মানুষের। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের যাওয়া-আসার কারণে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জনমনে। রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১ ও ২-এর গ্রাহকসহ গোটা বিভাগের প্রায় ১ কোটি গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এদিকে কয়েক দিনের বৃষ্টির পর মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এ অঞ্চলে। তাপপ্রবাহের ফলে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি, এর সঙ্গে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অস্বস্তি বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। বাড়ছে মৌসুমি জ্বর-সর্দি ও অন্যান্য অসুস্থতা। দ্রুত লোডশেডিং বন্ধ করাসহ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

রংপুরের সাধারণ মানুষ বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের মধ্যে রংপুর বিভাগেই সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে, যা এখন অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এর প্রভাব ছোট-বড় কলকারখানা ও ব্যবসায়েও পড়তে শুরু করেছে। ব্যাঘাত ঘটছে উৎপাদন কার্যক্রমে। বিলাসবহুল শপিংমল, বিপণী বিতানসহ ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে কেনা-বেচায় মন্দাভাব দেখা গেছে।

গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো বিল আদায় করছে। মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ নিচ্ছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক। অথচ সেবার মান নেই। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। এতে গ্রাহকরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকের ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, রংপুর মহানগরীর ২টি সমিতির প্রতিটির আওতায় গড়ে ৫ থেকে ৭ লাখ গ্রাহক এবং ৮ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি বৈদ্যুতিক লাইন রয়েছে। প্রতিটি সমিতিতে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ৭০ থেকে ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত। কিন্তু চাহিদার অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে সমিতিগুলো। ঘাটতি থেকে যাচ্ছে ৩০-৪০ মেগাওয়াট। একই অবস্থা রংপুর জেলা ও বিভাগের অন্য জেলাগুলোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিরও।

রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর গ্রাহক পীরগাছা উপজেলার কান্দি বাজার এলাকার আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, একদিকে গরম আর অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘনঘন যাওয়া-আসা। বার বার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি।

 

 

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ