• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ অপরাহ্ন

গোমাংস খাওয়ার ভয়ঙ্কর অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সদস্যরা গরুর গোশত খেয়েই গোহত্যার অভিযোগে মানুষকে পিটিয়ে মারছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিজেপির সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সংকেতের মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল গাড়ি সোমবার ভোরে নাগপুরের রামদাসপেঠ এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপর গাড়ির চালককে আটক করে তার রক্তের নমুনা মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর থেকেই এই ইস্যুতে সরব বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির সভাপতির ছেলে সংকেত বাওয়ানকুল সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একটি বার থেকে বিফ কাটলেটও অর্ডার করেন বলেন অভিযোগ তোলেন ঠাকরে গোষ্ঠীর এমপি সঞ্জয় রাউত । সেই সাথে তিনি বলেন, ‘গোমাংস খেয়ে হিন্দুত্ব প্রচার করছে বিজেপি। তারাই আবার গোহত্যার ঘটনায় মানুষকে পিটিয়ে মারছে’।

সঞ্জয় রাউতের গুরুতর অভিযোগ, যে অডি গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার রেজিস্ট্রেশন বিজেপি রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সংকেত বাওয়ানকুলের নামে নথিভুক্ত রয়েছে।

নাগপুরেও হিট অ্যান্ড রান নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে আলোচনা। দু’দিন আগে নাগপুরে একটি দ্রুতগামী অডি গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন অনেকে। যে অডি গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে তার রেজিস্ট্রেশন বিজেপি রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সংকেত বাওয়ানকুলের নামে রয়েছে। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন অর্জুন হাভারে, রনিত চিত্তমওয়ার, সংকেত বাওয়ানকুলেসহ তিনজন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সংকেতের বন্ধু অর্জুন। এবার ঠাকরে গোষ্ঠীর এমপি সঞ্জয় রাউত বড়সড় তথ্য সামনে এনেছেন। তিনি অভিযোগ করেন সংকেত বাওয়ানকুলের গাড়িতে একটি বারের বিল পাওয়া গেছে। সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন যে এই বিলে বিফ কাটলেটের সাথে অ্যালকোহল, চিকেন, মাটনের অর্ডার দেয়ার প্রমাণ রয়েছে।

নাগপুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের ছেলে সংকেত বাওয়ানকুলের গাড়ি দুর্ঘটনার বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন ঠাকরে গ্রুপের এমপি সঞ্জয় রাউত। রাউত দাবি করেন, সংকেত এবং তার বন্ধুরা যে হোটেলে খাবার খেয়েছিল তার বিলে বিফ কাটলেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সঙ্গে রাউত বলেন, যারা আমাদের হিন্দু ধর্ম শেখায় তারা কী করে বারে বসে বিফ কাটলেট খেতে পারে? তারাই আবার গোহত্যার নামে কী করে মানুষকে পিটিয়ে মারে?

সেই সাথে তিনি রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের ভুমিকার কড়া সমালোচনা করে বলেন, নাকের ডগায় এত বড় দুর্ঘটনা, ১৭-১৮ জন হাসপাতালে ভর্তি। অথচ গাড়ির মালিকের নামে কোনো এফআইআর-এ নেই। দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মহারাষ্ট্র আপনাকে ক্ষমা করবে না। আপনার চোখের সামনে আপনার দলের এক নেতার ছেলে দশটা গাড়ি পিষে, মদ খেয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছে। আপনি কিভাবে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন?
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ