ঝিনাইদহের মহেশপুরে গণপিটুনিতে রাশেদ শেখ (৩৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রাশেদ ভালাইপুর গ্রামের মিঠু শেখের ছেলে।
একই সময় গণপিটুনিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নিহত রাশেদের ছোট ভাই রাজদুল শেখ ও চাচা বজলুর রহমান বটা। তারা পুলিশ প্রহরায় মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ভালাইপুর গ্রামের বিশ্বাস পাড়ায় রাজ্জাকের বাড়িতে গরুচুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন তারা। এ সময় চোর শরিফুল ইসলাম পালিয়ে যান।
চোরের ছুরিকাঘাতে তৌহিদুল খা নামে এক ব্যক্তি জখম হন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা তিনজনকে আটক করে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে এসে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রাশেদ শেখ মারা যান। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা বলছেন, হতাহতরা পারিবারিকভাবে দির্ঘদিন ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত। এর আগেও বটা চোরের বাবা আনসার শেখ ও তার ভাই হাকিম শেখকে গরু চোরের দায়ে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয়রা। এছাড়া আটক বজলুর রহমান বটা দীর্ঘদিন যাবত মহেশপুর উপজেলার গরুচোর সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে পরিচিত।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, গরুচুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক তিন চোর গণপিটুনির শিকার হয়। পিটুনিতে তিনজনের মধ্যে রাশেদ শেখ নামে একজন মারা গেছে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে।