ব্রাজিলে সৃষ্টি হওয়া এ বছরের সবচেয়ে বড় দাবানলটি রাজধানী ব্রাসিলিয়ার উপকণ্ঠে থাকা ন্যাশনার পার্ক পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। গতকাল রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) অগ্নিনির্বাপন কর্মীদের সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করতে দেখা যায়। গত প্রায় ১৪৫ দিন ধরে এই শহরটিতে বৃষ্টিও হচ্ছে না। এ কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। খবর এএফপির।
ব্রাজিলের ন্যাশনাল পার্কের দায়িত্বে থাকা চিকো মেনডেজ ইনস্টিটিউট অব বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেনশন নামের সংস্থাটি জানিয়েছে দাবানলে এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০ হেক্টর এলাকা (প্রায় সাড়ে চার বর্গমাইল) পুড়ে গেছে। ৩০ হাজার হেক্টর এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা ন্যাশনাল পার্কটির বাকী এলাকা বাঁচাতে লোকজন সারারাত ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান।
এদিকে এই ‘আগুন মহামারি’র বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে সরকারি খরচের সীমা অতিক্রম করে আরও অর্থ সাহায্যের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ফ্লাবিও দিনো বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ ও কার্যকর সাহায্যের বিষয়টিকে অস্বীকার করতে পারি না।’ ফ্লাবিও দিনো ছিলেন দেশটির সাবেক বিচারমন্ত্রী।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ জানিয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে ৫৫ হাজার ৫১৭টি আগুনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ হাজার ৪৯৮টি। কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানবসৃষ্ট কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া গত সাত যুগের মধ্যে এবারই সবচেয়ে মারাত্মক খরার মুখোমুখি ব্রাজিল। বিশেষজ্ঞরা এই খরার জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করে আসছেন। এবছরের দাবানলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের বড় শহর সাওপাওলো ও রিও ডি জেনিরোতেও। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েতেও এর প্রভাব পড়েছে।