ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৈরুত হামলায় ৮৫টি কথিত বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। এই বোমাগুলো গ্রাউন্ড পেনাট্রাশন মিউটিশন নামেও পরিচিত। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমা বিস্ফোরণের আগে মাটির বেশ গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এই বোমাগুলোর মাটির গভীরে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করার সক্ষমতা আছে।
এ ধরনের বোমাগুলো সাধারণত ২০০০ থেকে ৪০০০ পাউন্ড বিস্ফোরক থাকে। কংক্রিটের আস্তরণ থাকলেও এই বোমা মাটির ত্রিশ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে। ভূমিকম্পের মতো অবস্থা তৈরি করে গুঁড়িয়ে দিতে পারে মাটির গভীরের স্থাপনা।
তবে এই বোমা ব্যবহার করেই হিজবুল্লাহ মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে জানায়নি ইসরায়েল।
হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহও। সেই সাথে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এর আগে হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দাবি করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে রাতভর চালানো বিমান হামলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, ‘হিজবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ সংগঠনটির মহান ও অমর শহীদ কমরেডদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন; যাদের তিনি ৩০ বছর ধরে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শনিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এক এক্স পোস্টে জানিয়েছিলেন, ‘হাসান নাসরুল্লাহ মারা গেছেন।’ ইসরায়েলি বাহিনী আরও জানায়, তাদের হামলায় হিজবুল্লাহর দক্ষিণ ফ্রন্টের সামনের সারির কমান্ডার আলি কারকিও নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে চালানো হামলায় তারা নিহত হন বলে দাবি ইসরায়েলের।
এর আগে ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছিলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। তেহরান ও হামাসের অভিযোগ ইসরায়েলই তাকে হত্যা করেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি তেলআবিব।