বগুড়ার শিবগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মিছিলে মিনহাজ নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ১১৫ নেতার নাম উল্লেখ করে ২৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর চাচা বগুড়া শহরের নিশিন্দারা পশ্চিমপাড়ার সাঈদ হোসেন শুক্রবার শিবগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
শনিবার বিকালে ওসি আবদুল হান্নান জানান, ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা, সাধারন সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ রিজু, সাবেক বিএনপি নেত্রী বিউটি বেগম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু, শিবগঞ্জ উপজেলা যুব সংহতির সভাপতি হুসাইন শরীফ সঞ্চয়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বিপুল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবাশ্বের হোসেন স্বরাজ, সাংবাদিক আপেল মাহমুদ ও জাফর ইকবাল জাফর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ফকির, এসকেন্দার আলী শাহানা, এসএম রূপম, উপজেলা জাপা সভাপতি এরফান আলী প্রমুখ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই বেলা ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল মোকামতলার জয়পুরহাট মোড়ে পৌঁছে। এ সময় আসামিরা ককটেল, হাতবোমা, রিভলবার ও কাটা রাইফেল দিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। এতে মিনহাজ (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে আসামিরা গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। মিনহাজকে মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বাদী সাঈদ হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় সঠিক আইনি সহযোগিতা পেতে এ মামলা করেছেন।
তবে এজাহারে আপেল মাহমুদ ও জাফর ইকবালকে অন্তর্ভুক্ত করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তারা এজাহার থেকে সাংবাদিকদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।