• শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

সারিয়াকান্দিতে বসত বাড়িসহ নদীগর্ভে ফসলি জমি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
ছবি ইন্টারনেটে থেকে

বগুড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলায় বাঙালি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ২০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। ভেঙে গেছে ৫০০ বিঘার বেশি ফসলি জমি। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে গ্রামের ৫ হাজার মানুষ এবং দুই গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর সেচ প্রকল্প বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে।

জানা গেছে, গ্রামের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনের নদী ভাঙনে ৫০০ বিঘার বেশি ফসলি জমি বাঙালিতে বিলীন হয়েছে। চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ২৫টি পরিবারের লোকজনের নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, পারতিত পরল এবং চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষের সারা বছরের ভাতের জোগান দেয় বেড়ারবিলসহ তিতপরল পাথারের ফসলের মাঠ। বাঙালি নদীর ভাঙনে সেই পাথারের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল এখন হুমকিতে রয়েছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ৫ হাজারের বেশি মানুষ বাঙালি নদীর ভাঙনের শিকার হবেন। চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের ফসল উৎপাদনের জন্য স্থাপিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের গভীর নলকূপটি গত কয়েকদিন আগে বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে।

এ গ্রামের বাসিন্দা মানিক সরকারের সহধর্মিণী শ্রীমতি শিবানী রানী বলেন, বাঙালি নদীর ভাঙনের শিকার হয়ে নদীর কিনারায় মানুষের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। বাড়ি থেকেই নদী ভাঙনের আওয়াজ শোনা যায়। যেকোনো সময়ে আবারও আমার বাড়িটা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরেক বাসিন্দা সানাউল্লাহ প্রামানিক বলেন, গত কয়েকদিনের বাঙালি নদীর ভাঙনে আমার বেশ কয়েকবিঘা মরিচ এবং আমনধানের জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এভাবে নদী ভাঙতে থাকলে আমার সবটুকু ফসলি জমিই বাঙালিতে বিলীন হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, দ্রুতই ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া হবে। সরেজমিন পরিদর্শন করে কৃষকের ফসলি জমি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ