মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা রুখতে সরকারের পাশাপাশি দেশের জনগণকেও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের নারী এবং কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক গবেষণামূলক প্রতিবেদন ‘কার শহর’ (হুজ সিটি) প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, জয় অ্যাপস ও জাতীয় হেল্প লাইন সেন্টার ১০৯ চালু হওয়ায় সহিংসতার হার কিছুটা কমেছে। এসব হেল্পলাইন ও অ্যাপস এর বিষয়ে আরো সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে তা সংযোজন করা হয়েছে। এ সহায়তার বিষয়ে গণমাধ্যমকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন চুমকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সূচকের দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তিতে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে দেশের মানুষ। নগরসহ বাংলাদেশকে স্মার্ট রাখতে এই দেশের মানুষকে মানসিকতা ও সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় দিতে হবে। তবেই নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর এধরনের সংকট দূর হবে।
চুমকি বলেন, পারিবারিকভাবে সন্তানকে মানবিকভাবে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে কার্যক্রম চর্চায় গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা পাবলিক পরিবহনে নারীর নিরাপত্তা, বাসচালক ও হেলপারদের জেন্ডার সচেতনতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা প্রণয়ন, কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানিসহ সকল ধরনের জেন্ডার বৈষম্য এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মার্কেট প্লেসে শৌচাগার ব্যবস্থা বৃদ্ধি করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়াও সড়ক ও গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা জোরদার, ফুটপাত নারীবান্ধব করা, পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি নির্মাণ, নারীর জন্য বাজেটের সঙ্গে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করার ওপরও সুপারিশ করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেহের আফরোজ চুমকি এ গবেষণা প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বাসস