নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়বেন–এমন একটা গুঞ্জন চাউর হয়েছিল গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু সেটা সত্যি হয়নি। আফগানিস্তান সিরিজেও শান্তই ছিলেন টাইগারদের অধিনায়ক। তবে দৃশ্যপট বদল হতে খুব একটা সময়ও নেয়নি। নতুন বছরের শুরুতেই জানা গেল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের পদটা ছেড়ে দিচ্ছেন শান্ত।
ক্রিকেটবিষয়ক গণমাধ্যম ক্রিকবাজ তাদের এক খবরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সেটা গুঞ্জন থেকে আর বাস্তব হয়নি। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত। নিজের ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।
তবে এই দফায় আপাতত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দায়িত্ব থেকেই সরে আসছেন শান্ত। টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন। ক্রিকবাজ বিসিবির শীর্ষ এক কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানায়, ‘শান্ত শেষ পর্যন্ত আমাদের জানিয়ে দিয়েছে সে আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকছে না। আর আমরা সেটা মেনে নিয়েছি, কারণ আমাদের এই মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। তবে কোনো ইনজুরি সমস্যা না থাকলে নাজমুল টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়ক থাকবে। এই বিষয়ে আমাদের কথা হয়েছে।
বর্তমানে নাজমুল শান্ত ব্যস্ত আছেন বিপিএল দল ফরচুন বরিশালের হয়ে। নভেম্বরে আফগানিস্তান সিরিজে কুঁচকির ইনজুরির পর মিস করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এনসিএল টি-টোয়েন্টি আর বিপিএল দিয়েই নিজেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য ফিট করে তোলার মিশনে আছেন বাংলাদেশের দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক। সবকিছু ঠিক থাকলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নামবেন তিনি।
এদিকে শান্তর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অধিনায়কের দৌড়ে এগিয়ে আছেন লিটন কুমার দাস। বর্তমানে ব্যাট হাতে ধুঁকতে হলেও উইকেটের পেছনে আর অধিনায়কত্বের দিক থেকে বেশ ছন্দে আছেন লিটন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার অধিনায়ক ভূমিকা বেশ মুগ্ধ করেছিল ক্রিকেটভক্তদের। সিরিজ শেষে জানিয়েছিলেন, বিসিবি চাইলে তিনি পুরোদমে জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিতেও প্রস্তুত।
শান্তর এমন সিদ্ধান্তের পর আবারও একাধিক অধিনায়কের যুগে ফিরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান ছিলেন অধিনায়ক। তামিম ইকবাল ছিলেন ওয়ানডে অধিনায়ক। এরপরে তামিমের নেতৃত্ব ছাড়ার সুবাদে সাকিবকে দেয়া হয় তিন ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব। সাকিব আল হাসান সেটা ছেড়ে দেন গেল বছরের শুরুতে। ফেব্রুয়ারি মাসে শান্ত হন তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। ১ বছর পূর্ণ না হতেই আবার সেই জায়গা থেকে কিছুটা সরে এলেন এই ব্যাটার।