সামরিক শক্তিতে অবিশ্বাস্য উত্থান ঘটেছে চীনের। বেইজিংয়ের সামরিক উত্থানে অবাক হয়ে গেছে বিশ্ব। শুধু চীনই নয়, প্রতিবেশী পাকিস্তানও বেইজিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আবার হাইপারসনিক মিসাইল তৈরির মতো পদক্ষেপও নিয়েছে পাকিস্তান। সবমিলিয়ে চীন-পাকিস্তানের এমন কারিশমায় টনক নড়েছে ভারতের।
গত বছরের শেষ সপ্তাহে নিজের সামরিক সক্ষমতার এক ঝলক দেখায় চীন। দেশটির চ্যাংডু থেকে প্রথমবারের মতো উড্ডয়ন করে চীনের তৈরি ষষ্ঠ প্রজন্মের দুটি স্টেলথ ফাইটার জেট। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, খুব কম উচ্চতায় দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছে ওই যুদ্ধবিমান। এরপরই টনক নড়ে বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলোর।
চীনের এমন অর্জন যে কারণও জন্য ঈর্ষা জাগানিয়া। কেননা যুক্তরাষ্ট্রও এখনও তাদের ষষ্ঠ প্রজন্মের প্রজেক্ট চূড়ান্ত করতে পারেনি। সেখানে সেই অসাধ্যই সাধন করে দেখিয়েছে চীন। এর আগে নিজের পঞ্চম প্রজন্মের চ্যাংডু জে-২০ ছিল চীনের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান। কিন্তু নিজেদের প্রতিরক্ষা খাতে যেভাবে বিনিয়োগ করছে, তাতে পিছিয়ে পড়ছে অন্য দেশগুলো।
প্রতিবেশী দেশের এমন উত্থান থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ পি সিং। চীন যখন সামরিক বিশেষ করে আকাশপথে এতটা উন্নতি করেছে, ভারত তখনও নিজেদের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তেজাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। নয়াদিল্লিতে এক সেমিনারে চীন ও পাকিস্তানের এমন অগ্রগতি উদ্বেগও প্রকাশ করেন ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান।
ভারতও নিজস্ব প্রযুক্তিতে তেজাস যুদ্ধবিমান তৈরি করছে। কিন্তু এপি সিং বলছেন, ২০১০ সালে ৪০টি তেজাস বিমান অর্ডার করে এখনও তার ডেলিভারি পায়নি ভারতের বিমানবাহিনী। অবশ্য তেজাস মার্ক ওয়ান যুদ্ধবিমানের তৈরির কাজ পিছিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পেতে দেরি হওয়া।
ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতের বিমানবাহিনীতে ৩০টি ফাইটার স্কোয়াড্রন রয়েছে। অথচ চীন ও পাকিস্তানের হুমকি মোকাবিলায় দেশটির দরকার ৪২.৫ স্কোয়াড্রন। কিন্তু বিদেশি যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভরতার কারণে তেজাস মার্ক-ওয়ান-এ ও তেজাস মার্ক-টু প্রজেক্ট নিয়ে উল্টো বিপাকে পড়েছে ভারত।