বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীকাল মঙ্গলবার জামিনের জন্য আদালতে আত্মসমর্পন করবেন। তার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া সোমবার এ কথা জানিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত ৩০ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
রাজধানীর বকশিবাজারে উমেশ দত্ত রোডের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত ওইদিন এ আদেশ দেয়।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, ওইদিন হরতালের কারণ দেখিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে সময় চায় তার আইনজীবীরা। আসামীপক্ষের এ আবেদন নামঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। একই সঙ্গে কাল ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর এ মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিনও ধার্য করে দেয় আদালত।
এর আগে গত ২৩ নভেম্বর মামলায় ৬ষ্ঠ দিনের মতো অসমাপ্ত আত্মপক্ষ সমর্থন বক্তব্য করে বক্তব্য পেশ করেন বেগম খালেদা জিয়া। গত ১৯ অক্টোবর , ২৬ অক্টোবর, ২, ৯,১৬ নভেম্বরর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেন খালেদা জিয়া। এ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত দু’টি দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এ মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই দুই মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করা হয়।