দুদকের মামলায় আগামী দুই মাসের মধ্যে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরী। অন্যথায় তার তাঁর জামিন বাতিল হবে।
সোমবার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এমপি শওকতের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম সুজন, এ এম আমিনুদ্দিন ও শেখ ফজলে নূর তাপস। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ২২ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শওকত চৌধুরীকে ৫০ দিনের মধ্য ২৫ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দিতে নির্দেশ দেন। এতে ব্যর্থ হলে নিম্ন আদালতে তাঁকে দেয়া জামিন বাতিল হবে বলে উল্লেখ করেন আদালত। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শওকত।
শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক থেকে ১২০ কোটি টাকারও বেশি আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে দুদকের। তাঁর বিরুদ্ধে সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলাও রয়েছে দুদকের।