আগাম নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন যদি আগামীকালও হয় সেটার জন্যও বিএনপির প্রস্তুত। তবে, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ ছাড়তে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধানে দলীয় অনুচ্ছেদ বসিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমরা নির্বাচন চাই। তবে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকবে না, প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র আগাম নয়, আগামীকাল নির্বাচন হলে বিএনপি তাতে অংশ নিতে প্রস্তুত।’
আসন্ন উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো দলীয়ভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেই-নি। তবে আমরা প্রতিটি স্থানীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি, এ জন্য যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হয় তা পর্যবেক্ষণ করতে। ইতিমধ্যে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। তাই যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কয়েক বছরে একটি রাজনৈতিক দল (আওয়ামী লীগ) যারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মালিক বলে দাবি করেন তাদের হাতে দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক স্তম্ভগুলো একে একে ধ্বংস হচ্ছে। তারা নব সংস্করণে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তীব্রবেগে এগিয়ে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি গঠিত রাজনৈতিক জোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন রাজনৈতিক জোটকে অবশ্যই স্বাগতম জানাই। আশা করছি সেই জোট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কারণ আমরা বার বার বলে আসছি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় ঘটাতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে গড়ে তুলতে হবেই।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে স্বৈরচারের পতন হয়নি বরং স্বৈরাচার আরও নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বতে যৌথসভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মিলন মেহেদী, তাতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।