সদ্য বিদায়ী বছরে সব ধরনের চালের মূল্য আগের বছরের চেয়ে গড়ে ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর এক বছরে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৪১ শতাংশ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ। সার্বিকভাবে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। সবমিলিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয়বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০১৬ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। রাজধানীর ১৫টি খুচরা বাজার এবং ১১৪টি খাদ্যপণ্য, ২২টি নিত্যব্যবহার্য সামগ্রী ও ১৪টি সেবার তথ্য পর্যালোচনা করে ক্যাব এই হিসাব করেছে।
ক্যাবের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাক-সবজির দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। তরল দুধের দাম বেড়েছে ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও গরুর মাংসে ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। চিনি ও গুড়ের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৮ শতাংশ, লবণে বেড়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ও ভোজ্যতেলে ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
দাম বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে দেশি শাড়ি-কাপড়, গুঁড়ো দুধ, মাছ, ডালডা, ঘি, মুরগি, ডিম, আটা-ময়দা।
এছাড়া গত এক বছরে দাম কমার তালিকায় রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিম ও মসুর ডাল। দেশি মসুর ডালের দাম কমেছে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আর আমদানি করা মসুর ডালে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। এছাড়া নারকেল তেল, আলু, রসুনের দামও কমেছে। তবে সার্বিকভাবে মাছের দাম বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, গত বছর মানুষ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল পায়নি। নিম্নবিত্তের মানুষের উপর জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব বেশি হারে পড়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ক্যাবের আহ্বায়ক মোবাশ্বের হোসেন, উপদেষ্টা শামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভুঁইয়া প্রমুখ।