আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. এস এ মালেক বলেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি কেবলমাত্র একটি দিনই ছিল না, এটি ছিল দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্ণর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লী হয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন।
ডা. এস এ মালেক বলেন, ১০ জানুয়ারি বিশেষ করে, বঙ্গবন্ধুর কথা বেশি মনে পড়ে, ওই দিন দেশে ফিরে এসে তিনি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুসংহত করার লক্ষ্যে মূল ভীত রচনা করেছিলেন। জাতির পিতার অকাল মৃত্যুর কারণে আমাদের চরম ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ অসমাপ্ত থেকে গেছে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের প্রবীণ এই সদস্য বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় জনগণের সংকট সমাধান করে যেভাবে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে পথেই অগ্রসর হচ্ছেন। তাই শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে এবং ইত্যোমধ্যেই জনগণ তার সুফল পেতে শুরু করেছেন। এখন শুধু প্রয়োজন বর্তমান ধারাকে অব্যাহত রাখা এবং সে কারণেই স্বাধীনতার সপক্ষের সব শক্তির উচিত শেখ হাসিনাকে পুনরায় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন করা।